কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তিন মাস যাবৎ মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার মধ্যরাত থেকে হ্রদে উন্মুক্তভাবে মাছ শিকার ও আহরণ করা যাবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন জানান, এ মৌসুমে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, উৎপাদন ও বংশ বিস্তারের জন্য কাপ্তাই হ্রদে জারি করা নিষেধাজ্ঞা তিনমাস পর প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের মাছ শিকার, আহরণ, পরিবহন ও বিপণন করা যাবে। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ সংক্রান্ত কমিটির অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কাপ্তাই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মাইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে চলতি মৌসুমের ১৯ মে মধ্যরাত থেকে হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বিপণন ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন ও বিএফডিসি।
চলতি মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ২০ মেট্টিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা হ্রদে অবমুক্ত করেছে বিএফডিসি। হ্রদে মাছ আহরণে আর প্রজনন ব্যাহত হবে না। তাই শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদ হতে মাছ শিকার, আহরণ, পরিবহন ও বিপণন পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে কাপ্তাই হ্রদের ৭টি মৎস্য অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
জেলেরা জানান, হ্রদে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের এতদিন ধরে বেকার বসে থাকতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছেন তারা।
বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে মাছের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৩০ হাজার জেলে। এছাড়া মৎস্য ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকসহ প্রায় ১ লাখ মৎস্যজীবী নির্ভরশীল কাপ্তাই হ্রদের মাছের ওপর নির্ভরশীল।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এসএস/এমআরআই