না.গঞ্জে ডাক্তারের বিরুদ্ধে রোগীর কিডনি চুরির অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি একটি হাসপাতালে একজন রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) করার সময় ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি কিডনি চুরির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই রোগীর ছেলে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে অভিযুক্ত ডাক্তার বলছে, তিনি কিডনি চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত না। আর পুলিশ বলছে, তারা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে।
ভুক্তভোগী রোগীর নাম আতাউর রহমান (৫৫)। তিনি নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা কাইয়ুমপুর এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আতাউর রহমানের ছেলে মো. শাহীন এর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বছরের (২০১৪) ১৯ জুলাই আমার বাবা মো. আতাউর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় শহরের ডনচেম্বারে দোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার মনজুর আহমদে বলে পেটের সমস্যা অপারেশন করতে হবে। দুইদিন পর ২১ জুলাই অপারেশন করেন ও ৩০ আগস্ট ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। অবস্থা খারাপ দেখে গত (২০১৫) ২ ও ৩ আগস্ট ডাক্তার মনজুর আহমেদের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় অপারেশন করতে হবে বলে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ৩আগস্ট মেডিলাইফ জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর কর্মরত ডাক্তার জানায় বাবার পেটের সেলাই সঠিকভাবে হয়নি এবং বাম পাশের কিডনি নাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখানোর পর সেখানকার ডাক্তার জানায় একটি কিডনি নেই। পরে গত ৪ আগস্ট পপুলার জেনারেল হাসপাতালে দেখার পর একই রিপোর্ট আসে। বর্তমানে বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে বাধ্য হয়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দেয় শাহীন। সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি আব্দুল মালেক অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, এমনটি ঘটে থাকলে সেটি শুধু অমানবিকই নয় অনিয়মও বটে। ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত ডা. মনজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ওই রোগীর কিডনি নিয়ে ডিল করিনি। মূলত রোগীর নাড়িতে আলসার হয়েছিল সেটির অপারেশন করেছি। কিডনি চুরির অভিযোগ সত্য না।
শাহাদাৎ হোসেন/এমএএস/এমআরআই