আইনজীবী থেকে পোলট্রি ব্যবসায়ী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
২০০৮ ও ২০১৪ সালে এ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পাঁচ বছরে তার আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। রোববার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আ ক ম মোজাম্মেল হক ২০১৪ সালে পেশা আইনজীবী দেখিয়েছিলেন। এ বছর তিনি পেশা দেখিয়েছেন কৃষি, মৎস্য ও পোলট্রি ব্যবসা।
২০১৪ সালে তার নগদ টাকা ছিল ৫ লাখ ৪ হাজার ৯৫ টাকা। এ বছর তার ব্যাংকে রয়েছে ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩১ টাকা। ওই সময়ে ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৭ টাকা, স্ত্রীর নামে ছিল ৬০ হাজার ১৯৬ টাকা।
এ বছর তার নিজের নামে ব্যাংকে জমা আছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৪ টাকা। আর ২০১৪ সালে নিজের নামে ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৭ টাকা। স্ত্রীর নামে ছিল ৬০ হাজার ১৯৬ টাকা।
এ বছর তার আয়ের মধ্যে কৃষি খাতে ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, ভাড়া বাবদ আয় ৩৬ হাজার টাকা, পোলট্রি থেকে আয় ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা উল্লেখ করেছেন।
২০১৪ সালে ভাড়া বাবদ তার আয় ছিল ৩৬ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে কৃষি খাত থেকে আয় করেছিলেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। পারিতোষিক ভাতা ছিল তার ১৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে তার ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গাড়ি ছিল। বর্তমানে তার রয়েছে ৩টি গাড়ি যার মূল্য ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবার নির্বাচনী হলফনামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের এই মন্ত্রী।
মো. আমিনুল ইসলাম/এএম/জেআইএম