মনোনয়ন পেয়েও কোণঠাসা এমপি শম্ভু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৮

বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলার প্রভাবশালী দুই নেতা। তবে নির্বাচনী মাঠ দখলে রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মো. জাহাঙ্গীর কবির ও তার কর্মী সমর্থকদের। আর কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন এ আসনের বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত অপর প্রার্থী অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাধ শম্ভু।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতাসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনগুলো জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে কাজ করলেও উল্টো চিত্র অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর শিবিরে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র ফেসবুকে তুলে ধরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তার নির্বাচনী প্রচারণা। এমনকি মনোনয়ন পাওয়ার পর নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে দলীয় কার্যালয়েও আসতে পারেননি তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাধ শম্ভু পাঁচবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নৌ-পরিবহন উপমন্ত্রী ও খাদ্য উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অন্যদিক বরগুনা জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবির বরগুনা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি এক হাতে তিনি হাল ধরে রেখেছেন জেলা আওয়ামী লীগের।

৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে বরগুনায় নানা আন্দোলন ও সংগ্রাম করে নির্যাতনের পাশাপাশি জেলে যেতে হয়েছে তাকে। ১/১১’র সময়ও নানা কৌশলে বরগুনা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করার পাশাপাশি দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তার।

বরগুনা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এছাড়াও দলের ত্যাগী নেতাসহ সম্ভাবনাময় তরুণ নেতাদের অবমূল্যায়নের কারণে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বরগুনার সর্বস্তরের সাধারণ জনতা।

বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, মনোনয়ন তালিকায় নাম থাকার পরও জাহাঙ্গীর কবিরের নেতা ও সমর্থকদের তোপের মুখে জেলা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি এমপি শম্ভু। নানা কারণে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতাসহ সাধারণ মানুষ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে বয়কট করেছেন। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগে জাহাঙ্গীর কবীরের অবদান অনেক। চূড়ান্তভাবে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলীয় সকল নেতাকর্মী তার পক্ষে একজোট হয়ে কাজ করবে।

তবে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, এ আসনে যদি জাহাঙ্গীর কবিরকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে আমি তাকে বিজয়ী করতে কাজ করব। আর যদি আমি মনোনয়ন পাই, তাহলে জাহাঙ্গীর কবিরও আমাকে বিজয়ী করতে কাজ করবেন বলে আমি আশাবাদী।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।