৮৮টি রেল ক্রসিংয়ের ৬৮টিই অরক্ষিত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

ব্রিটিশ আমল থেকেই রেলের শহর হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ী। এ জেলার পাঁচটি উপজেলাতেই রয়েছে রেলপথ। রাজবাড়ী জেলায় ৮৮টি রেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ৬৮টি রেল ক্রসিংই অরক্ষিত। নেই কোনো প্রতিবন্ধক ও গেটম্যান। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর বালিয়াকান্দির জামালপুরে রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন চারজন। সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান একজন।

জেলা শহরের বাইরে বহু ব্যস্ততম রেল ক্রসিং রয়েছে। যার দু-একটি স্থানে গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক রয়েছে। বেশির ভাগ ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক। মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, গ্রাম্য সড়ক, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে রয়েছে এসব রেল ক্রসিং। ট্রেনের টাইম অনুযায়ী অনেক সময় রেল ক্রসিং এলাকায় থাকা সাধারণ জনগণ নিজ দ্বায়িত্বে গেটম্যানের কাজ করেন। কিন্তু তারপরও ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা। এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় রাজবাড়ীতে ১২ জন মারা গেছেন। গত বছর ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন ২৩ জন।

RAJBARI-RELL-CROCING-PKG-NEWS-P

স্থানীয়রা জানান, দিন দিন ব্যস্ত হচ্ছে জেলার প্রতিটি এলাকা। রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান ও প্রতিবন্ধকতা না থাকায় অনেকে ভাবছে রেলপথ পার হয়ে যেতে পারবে। কিন্তু তখনি ঘটছে দুর্ঘটনা। গুরুত্বপূর্ণ রেল ক্রসিংগুলো চিহ্নিত করে গেটম্যান দেয়ার দাবি জানান তারা। রেল ক্রসিংয়ের অনেক স্থানে নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ও রেল ক্রসিংয়ের চিহ্ন।

জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী জানান, রাজবাড়ীর রেললাইনগুলো অনেক পুরাতন। বর্তমানে এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের বহু রাস্তা রেল পথের ওপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী রেল কর্তৃপক্ষ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। রেল ক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরির বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হানিফ জানান, জেলার সকল রেল ক্রসিং ইতিমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। যেসব রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই সেই সব স্থানে গেটম্যান দেয়ার কাজ চলছে।

রুবেলুর রহমান/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।