সিইসির ভাগনের সঙ্গে লড়াই হবে রনির
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েই মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ভাগনে এস এম শাহজাদা সাজু। তার সঙ্গেই মূলত ভোটের লড়াই হবে গোলাম মাওলা রনির।
এদিকে গোলাম মাওলা রনিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়ার খবর তার নির্বাচনী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা রাত সাড়ে ৭টয় গলাচিপা-দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল বের করেন।
তবে বিকেল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রথমে প্রচার হয় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে বিএনপির ‘ধানের শীষ’ মার্কার মনোনয়ন পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান আল মামুন।
সোমবার সন্ধ্যার গলাচিপা-দশমিনার বিভিন্ন চায়ের দোকানে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিলো রনি ও শাহজাদা সাজুর লড়াই প্রসঙ্গে। পটুয়াখালী-৩ আসনটি আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম মাওলা রনিকে মনোনয়ন দেয়ায় নির্বাচনী ফলাফল এবার বিএনপি’র ঘরে যেতে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
গোলাম মাওলা রনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনার জের ধরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হন তিনি। একপর্যায়ে কারাবরণও করেন আলোচিত এ রাজনীতিক।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে গোলাম মাওলা রনি সাধারণ মানুষের কাছে খুব গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। যদিও তিনি আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন, তিনি বিএনপিকে কতটা গ্রহণ করেন সেটিও দেখার বিষয়। এই আসনে গোলাম মাওলা রনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ব্যক্তি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার নেই বলেও তিনি জানান।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটেন জানান, এই কঠিন সময়ে দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষেই কাজ করবো। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ও দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে যে কোনো সিদ্ধান্ত মানতে হবে আমাদের।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর/জেআইএম