সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলনকে চাঁদপুর কারাগারে প্রেরণ
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার দুপুরের পর মিলনকে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিউল আজমের আদালতে হাজির করা হলে আদালত এ আদেশ দেন।
চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে মিলনের নামে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলায় মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
সাবেক এমপি মিলনকে শুক্রবার ভোররাতে চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরী এলাকার বিএনপি নেতা শাহ আলমের বাসা থেকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
কেন্দ্রীয় মহিলা দলের নেত্রী ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে ভোর সাড়ে ৪টায় মিলনকে আটক করা হয়। পরে তাকে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে চাঁদপুর আদালতে আনা হয়।
চাঁদপুরের আদালতে মিলনকে হাজির করা হলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সলিমউল্লাহ সেলিম, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সফিকুর রহমান ভূঁইয়াসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন।
এ সময় এহসানুল হক মিলনের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আদালতে উপস্থিত হন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, শামসুছল ইসলাম মন্টু, মুনিরা চৌধুরী, মাইনুল ইসলামসহ প্রায় দুই ডজন আইনজবীবী।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৪ মার্চ কচুয়া থানায় দায়েরকৃত বেশ কয়েকটি মামলায় তিনি জামিন নেয়ার জন্য চাঁদপুর আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠান। প্রায় দেড় বছর তিনি কারাভোগ করার পর জামিনে বেরিয়ে আসেন। ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ থেকে সৌদি চলে যান। সেখান থেকে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন।
ইকরাম চৌধুরী/আরএআর/পিআর