স্বামী বললেন, কয়েকজনের সঙ্গে রেখার পরকীয়া ছিল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৮
নিহত শাহীনা আক্তার রেখা

পরকীয়ার জের ধরে শাহীনা আক্তার রেখা ও কাউছার আহম্মেদ খান ওরফে সোহাগের সাংসারিক জীবনে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরকীয়ার জের ধরে ৮ মাস আগে রেখাকে তালাক দেয় স্বামী সোহাগ।

তালাক দেয়ার আগ থেকে রেখার সঙ্গে সুমিত ওরফে শুভ নামে এক ছেলের পরকীয়া প্রেম চলতে থাকে। একপর্যায়ে সোহাগ জানতে পারে তালাকের পরও প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে রেখা।

কেবল শুভ নয় একইসঙ্গে আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল রেখার। পরে বিষয়টি সোহাগ রেখার প্রেমিক শুভকে জানায়। শুভও এই কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয় রেখার ওপর।

এরপর সোহাগ ও শুভ রেখাকে শায়েস্তার পরিকল্পনা করে। একসময় রেখাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শুভকে দিয়ে রূপগঞ্জের ৩০০ ফিট এলাকায় রেখাকে ডেকে আনা হয়। এরপর সোহাগ ও প্রেমিক শুভ মিলে খুন করে রেখাকে। পরে ৩০০ ফিট এলাকাতে রেখার মরদেহ ফেলে চলে যায় তারা।

মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে ১৫৪ ধারায় হত্যার রোমমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সাবেক স্বামী কাউসার আহম্মেদ খান ওরফে সোহাগ।

এ ঘটনার আরেক হোতা রেখার প্রেমিক শুভকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, আদালতে রেখার সাবেক স্বামী সোহাগ জবানবন্দি দিয়েছে। সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে এবং প্রেমিক শুভর সম্পৃক্ততার কথাও জানিয়েছে। তবে আমাদের ধারণা এ ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে সম্পৃক্ত।

৬ নভেম্বর রূপগঞ্জ উপজেলার ৩০০ ফিটের পাশে ১০ নম্বর সেক্টর থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অজ্ঞাত পরিচয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ।

মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পড়ে ডিবির পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিনের ওপর।

তদন্তে জানা যায়, অজ্ঞাত মরদেহ রাজধানী ঢাকার বনশ্রী ‘ই’ ব্লক এলাকার বাসিন্দা এসএম রফিকের মেয়ে শাহীনা আক্তার রেখার।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সন্দেহভাজন হিসেবে রেখার সাবেক স্বামী ও প্রেমিককে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে সাবেক স্বামী সোহাগ। পরবর্তীতে আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে। পাশাপাশি প্রেমিক শুভ রিমান্ডে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিবির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন।

এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।