দুই ভিক্ষুককে ঠাঁই ও সম্মান দিলেন ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

জীবিকা চালানোর জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে দুই কক্ষের একটি বাড়ি পেলেন কুড়িগ্রামের সেই ভিক্ষুক আবদার-অরেচা দম্পতি।

গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে তাদের বাড়ির উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের আলোচিত জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন। এ সময় সিভিল সার্জনসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভিক্ষুক দুই দম্পতির স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি আবেগময় পোস্ট দিয়েছেন কুড়িগ্রামের জনপ্রিয় এই জেলা প্রশাসক। পাঠকের জন্য লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

DC-Kurigarm

‘সৃষ্টিকর্তা সকল প্রাণীকে যে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন তার প্রমাণ এই ‘আবদার-অরেচা’ দম্পতিকে দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যায়। কীভাবে ওদের মিলন হলো সেই কাহিনি আমার কাছে সত্যি বিস্ময়। ভিক্ষা বৃত্তির মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করে কোনো মতে রাত কাটাতে পারতো ছোট ভাঙ্গা ঘরে। ভিক্ষার মতো অসম্মানজনক পেশা থেকে ফিরে এসে ছোট ব্যবসায় নিয়োজিত হওয়া এবং মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর পেয়ে আজ তারা আনন্দে আত্মহারা। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের জন্য নির্মিত ঘরটি বুঝিয়ে দেয়া হলো।’

এ বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় সুলতানা পারভিনের। তিনি বলেন, খুব কষ্ট করে চলতো তারা (আবদার-অরেচা)। বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। এরপর উদ্যোগ নেয়া হয় তাদের জন্য কিছু করার। স্থানীয় ও প্রশাসনের সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাদের জীবিকা চালানোর জন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও থাকার জন্য ঘর করে দেয়ার। এর আগে তারা ভিক্ষা করে জীবন চালাতো। থাকতো একটি ভাঙা ঘরে। খুবই কষ্টের জীবন ছিল তাদের। আশা করি এখন তারা ভালো থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু আবদার-অরেচা দম্পতি না, এর আগে ঢাকায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকা কুড়িগ্রামের একটি অসহায় পরিবারকে ইতোমধ্যে এলাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের বাড়ি করে দেয়া হয়েছে। গরু-ছাগল কিনে দেয়া হয়েছে এবং একটি দোকানও করে দেয়া হয়েছে। তারাও এখন ভালো আছে। এছাড়াও আরও কিছু অসুস্থ মানুষকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।