মামলা করতে গিয়ে নিজেই আসামি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায় চুরির অভিযোগ করতে গিয়ে জেনারেটর ব্যবসায়ী মো. রাশেদকে (২৭) ডাকাতি মামলার আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন রাশেদ ও তার পরিবার।
জানা গেছে, আগের একটি মামলায় রাশেদের কাছে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ময়নাল হোসেন খান ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিল। সে টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি অন্য পুলিশ কর্মকর্তাকে (আবদুল মালেক) দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করায়। ৩ মাস ১০ দিন কারাভোগ করে সম্প্রতি রাশেদ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। ময়নাল এরপর থেকে রাশেদকে আরো কয়েকটি ডাকাতি মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে ওই ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের একটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন রাশেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি ও পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আকুতি জানিয়েছেন তারা। এ সময় রাশেদের বৃদ্ধ মা ছায়েরা খাতুন ও বোন মরিয়ম বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ সাংবাদিকদের জানায়, তিনি রায়পুর শহরের লেংড়া বাজার এলাকার জেনারেটর ব্যবসায়ী। ১৪ মার্চ রায়পুর প্রধান সড়কের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির সামনে একটি ফল দোকান অপসারণকে কেন্দ্র করে এসআই ময়নাল নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে আসামি করা হয়।
এরপর তিনি (ময়নাল) তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সর্বশেষ ৭ এপ্রিল মামার বাড়িতে চুরি হওয়ায় মামাতো ভাইকে নিয়ে তিনি অভিযোগ করতে রায়পুর থানায় যান। এ সময় ক্ষিপ্ত ময়নাল থানার ভেতর রাশেদকে দেখে এসআই আবদুল মালেককে দিয়ে তাকে আটক করায়। পরে উপজেলার পূর্বচরপাতা গ্রামের মহসিন কবিরের বাড়িতে ডাকাতির মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। এক পর্যায়ে তাকে ডাকাতি মামলায় একদিন রিমান্ডেও আনা হয়।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ময়নাল হোসেন খান বলেন, রাশেদর কাছে টাকা দাবির অভিযোগটি মিথ্যা। তাকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করেছেন অন্য পুলিশ কর্মকর্তা। জামিনে বের হওয়ার পর অন্য মামলায় তাকে আসামি করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
কাজল কায়েস/এসএস/আরআইপি