বিয়ে দিয়েও আলাদা করা গেল না তাদের
সাতক্ষীরায় শরীরে পেট্রল ঢেলে প্রেমিকা মারা যাওয়ার খবর শুনে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক। তারা উভয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় প্রেমিকা স্মৃতি আক্তার (১৫)। প্রেমিকার মৃত্যুর খবর শুনে শনিবার সকালে যশোর জেলা সদরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যা করে প্রেমিক আলামিন হোসেন (১৫)।
প্রেমিকা স্মৃতি আক্তার সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের পাটুরিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসলাম গাজীর মেয়ে এবং মুকন্দপুর গ্রামের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রনি মোড়লের স্ত্রী।
প্রেমিক যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন। তারা উভয়ে শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ঝিকরগাছা উপজেলার বাকড়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসরাইল হোসেন বলেন, স্মৃতি আক্তার ও আলামিন হোসেন শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল তারা।
দুইজন একই ক্লাসে পড়ত। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্মৃতি আক্তারকে ৯ নভেম্বর নানা আব্দুল খালেকের বাড়ি কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামে রেখে আসেন তার বাবা-মা।
ওই দিন বিকেলে বাড়িতে থাকা মোটরসাইকেলের পেট্রল নিয়ে বাড়ির ছাদে গিয়ে শরীরে আগুন দেয় স্মৃতি। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যায় স্মৃতি। এ ঘটনা শুনে শনিবার সকালে বিষপান করে আত্মহত্যা করে আলামিন হোসেন।
তিনি আরও বলেন, তিন বছর আগে স্মৃতি আক্তারকে ফুফাতো ভাই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রনি মোড়লের সঙ্গে বিয়ে দেয় তার পরিবার। বিয়ে দেয়ার পরও দুইজনকে আলাদা করা যায়নি। আলামিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ঠিকই চালিয়ে যায় স্মৃতি।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে এ ঘটনায় জিডি করেছে পুলিশ।
আকরামুল ইসলাম/এএম/জেআইএম