কালীগঞ্জে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগিতায় নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৬) গণধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক ও তার তিন বন্ধুকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার একদিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ। মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে সোমবার সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় ওই মেয়েটিকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাজপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আর ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, কালীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালেহ আহমেদ ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষকরা যেখানেই যাক না কেন অতি শিগগিরই তাদের আটক করতে পারবো বলে আশা করছি। আর তাদের আটকের ব্যাপারে পুলিশের লোকজন বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে ওই ছাত্রীকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে প্রেমিক মতিউর রহমান (২৫) ও তার তিন বন্ধু মিলে তুলে আনে। সন্ধ্যায় একই উপজেলার বাহাদুরসাদী দক্ষিণবাগ গ্রামের নির্জন একটি টেকে নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতভর প্রেমিকসহ তার তিন বন্ধু পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সোমবার ভোরে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ইউপি সদস্য জনাব আলীর কাছে তুলে দেয়।
পরে ওই ইউপি সদস্য জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমের কাছে পাঠালে তার সহযোগিতায় ধর্ষিতাকে থানা হেফাজতে পাঠানো হয়।
আব্দুর রহমান আরমান/এসএস/আরআইপি