পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সন্তান প্রসব : আটক ১
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের খেওনীটারী গ্রামে ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনার মামলায় ধর্ষকের বড় ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার জাগো নিউজকে জানান, মামলার পর থেকে জাকরুলসহ এজাহার নামীয় আসামি পলাতক রয়েছেন। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহার নামীয় আসামি ধর্ষকের বড় ভাই দুলু মিয়া বাড়িতে ফিরেছেন এমন খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
একই উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের খেওনীটারী খামার হাসনাবাদ গ্রামের রিকশাচালক শাহ আলমের মেয়ে গোবর্ধনকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শাহিদাকে গত নভেম্বর মাসে জোর করে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশি মৃত আবুবক্কর সিদ্দিকের ছেলে জাকিরুল ইসলাম ওরফে জাকরুল। এরপর থেকে প্রায়ই শিশুটির উপর নির্যাতন চালাতেন জাকরুল। বিষয়টি কাউকে না বলতে তাকে ভয়ভীতিও দেখাতেন তিনি। এ ঘটনায় গত ১২ আগস্ট সকালে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছে শিশুটি।
অসুস্থ্য শাহিদা জানায়, জাকরুল জোর করে ধর্ষণ করার পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এ সম্পর্ক তৈরি করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জাকরুল কাউকে জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এজন্য কাউকে বলতে পারিনি। পরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে জাকরুলের পরিবারকে জানান। এতে ছেলের লোকজন মেয়েটির পরিবারকে মীমাংসা করার কথা বলে নানান ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদেরকে গ্রাম ছাড়া করেন।
শাহিদার বাবা শাহ আলম জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পরে ছেলেটি পলাতক রয়েছে। ন্যায্য বিচার চাওয়ায় আমাদের গ্রাম ছাড়া করা হয়েছে। এজন্য আইনের আশ্রয় পেতে জুলাই মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি।
নাজমুল হোসেন/এমজেড/পিআর