হানিফ কাউন্টারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মারধর করল হেলপার
কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা অবস্থায় গাড়ি চালাতে নিষেধ করায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে হানিফ কাউন্টারে নিয়ে মারধর করেছে বাসের চালক ও হেলপার।
বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাবিপ্রবির ছাত্ররা দিনাজপুর-রংপুর, দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে দুই ঘণ্টা অবরোধ করে। এ সময় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আহত ছাত্র ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র রুবেল মিয়া (২২) রংপুর থেকে হানিফ বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৫৯৫৪) চড়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে চালক কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এ সময় চালককে কান থেকে হেডফোন খুলে গাড়ি চালাতে বলেন রুবেল মিয়া। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
বিষয়টি রুবেল মিয়া তার সহপাঠীদের জানান। সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসটি থামানোর জন্য সংকেত দেন রুবেল মিয়ার সহপাঠীরা। কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে শহরের কালিতলা কাউন্টারে নিয়ে যান। এতে মারুফ ও প্রান্তসহ পাঁচজন ছাত্র আহত হন।
সেইসঙ্গে কাউন্টারে নিয়ে রুবেল মিয়াকে মারধর করেন চালক ও হেলপার। এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রুবেলকে উদ্ধারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন সহপাঠীরা।
এতে দিনাজপুর-রংপুর, দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আগুন জ্বালিয়ে রুবেলকে উদ্ধারের দাবিতে স্লোগান দেন সহপাঠীরা। খবর পেয়ে রুবেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে রুবেলকে ক্যাম্পাসে পৌঁছে দিলে দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
আহত রুবেল মিয়া বলেন, আমাকে কাউন্টারে নিয়ে চালক ও হেলপার মারধর করেছে। আমার নাক ও ঠোঁট কেটে গেছে। শরীরের অনেক স্থানে জখম হয়েছে।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদওয়ানুর রহিম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই রুবেলকে উদ্ধার করে ছাত্রদের মাঝে ফিরিয়ে দিয়েছি। ছাত্ররা অবরোধ তুলে নিয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নকে নিয়ে আলোচনায় বসব আমরা।
এমদাদুল হক মিলন/এএম/পিআর