চাঁদপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা : আটক ৬
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে যুবলীগের কর্মীদের হামলার ঘটনায় আটজন নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে কচুয়া থানা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
আটকরা হলেন, পালাখাল ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মোজাম্মেল হক (২২), কৃষিজীবী আলাউদ্দিন (৩২), শ্রমিক মো.সবুজ (১৯), অজি উল্লা (৩২), মো.ইমরান হোসেন ও পপি আক্তার (১৫)। তবে এ ঘটনায় মূল আসামিরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান।
কচুয়া থানা পুলিমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল জাগো নিউজকে জানান, আগের দিন রোববার রাতে ভূইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ফারুক, লিটন ও মনিরসহ আটজন নামধারী ও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চাাঁদাবাজি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসীর হামলার অভিযোগ আনা হয়।
চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো.আব্দুল হানিফ জাগো নিউজকে বলেন, ছয়জনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে সর্বত্র অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সোমবার সকালে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, ওই হামলায় গুরুতর আহত চারজন কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুইজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকিরা রাতেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ফারুক, লিটন ও মনিরসহ একদল যুবক শুক্রবার রাতে স্কুলে এসে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান করার জন্য ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন এ টাকা না দেওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার ও সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমানকে তারা লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় রোববার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে মিছিল করলে যুবলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। এসময় কমপক্ষে ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের ২২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার সামছুন্নাহার সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
ইকরাম চেীধুরী/এমজেড/এমআরআই