অনশন করে বিয়ের ৭ মাসেই লাশ হলো সাহেদা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সাহেদা খাতুন (১৭) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহত নববধূর বাবা উপজেলার কাশিয়াহাটা গ্রামের আমিনুল ইসলাম ধুনট থানায় এ অভিযোগ করেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মোতালেবের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে সাহেদা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সাদেহাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি মোতলেব।
এ কারণে প্রায় সাত মাস আগে সাহেদা বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মোতালেবের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। তখন সাহেদাকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করে মোতালেব। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নববধূকে মেনে নিতে পারছিল না মোতালেব ও তার মা-বাবা। সাহেদাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে নানাভাবে নির্যাতন করত তারা।
বুধবার রাতে অন্যান্য দিনের মতোই নিজেদের ঘরে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়েছিল। এ অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে ঘরের তীরের সঙ্গে সাহেদার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে সে। তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনা তার মা বাবাকে ডেকে নিয়ে দেখায়।
এদিকে নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে মোতালেব পলাতক রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে মেনে নিতে পারছিল না তার স্বামী ও শাশুড়ি। এছাড়া মাঝে মধ্যে আমার কাছে যৌতুকের টাকা চেয়েছে মোতালেব। কিন্তু যৌতুকের টাকা দেয়ার আর্থিক সামর্থ আমার নেই। এ কারণে মোতালেব ও তার মা ছালেকা আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
নিহতের স্বামী আব্দুল মোতালেব মুঠোফোনে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে পার্শ্ববতী বরইতলি গ্রামে নানীশাশুড়ি সোনাভান বেগম মারা গেছেন। তাই রাতেই নানীর বাড়িতে যেতে চেয়েছিল সাহেদা। কিন্তু যেতে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। সাহেদাকে হত্যা করা হয়নি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা আরজি দিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সাহেদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
লিমন বাসার/এফএ/পিআর