সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকতে পারবেন ২ হাজার কয়েদি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৮

২ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সাত বছর পর উদ্বোধন হলো নবনির্মিত কারাগারটি। তবে উদ্বোধন করা হলেও ডিসেম্বরের আগে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই কারাগারে বন্দীদের তোলা হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কারাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটের বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুদায়ন ও জেলার সাতটি উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের উদ্বোধন এবং শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আড়ম্ভরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেট থেকে যুক্ত হন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ কয়েছ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুনেছা হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল প্রমুখ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল জানান, নতুন কারাগার উদ্বোধন করা হলেও পুরনোটি এখনও বহাল থাকবে। ডিসেম্বর নাগাদ নতুন কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের স্থানান্তর করা হবে। ২০১০ সালে সিলেটের নতুন কারাগার নির্মাণ ও স্থানান্তরের প্রকল্প একনেকে পাস হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার বাদাঘাট এলাকায় কারাগারের ভেতরে ১৬ একর ও বাইরে ১৪ একর জমি নিয়ে মোট ৩০ একর জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছে নতুন কারাগার। যেখানে স্থাপনা করা হয়েছে ৫৯টি ভবন। এখানে ফাঁসির কাষ্ঠে একসঙ্গে চারজনের দণ্ড কার্যকর করা যাবে। এর অভ্যন্তরে একটি সানবাধানো সুপরিসর পুকুরও রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরে কারাগার নির্মাণের কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ করতে ব্যয় দাঁড়ায় ২৭০ কোটি টাকায়। কারাগারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একশ শয্যার পাঁচতলা বিশিষ্ট চারটি হাসপাতাল, স্কুল ও লাইব্রেরি ভবন ছাড়াও কর্মকর্তাদের জন্য ১৩০টি ফ্ল্যাট রয়েছে।

ছামির মাহমুদ/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।