নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু
রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ে বলেছেন, আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে দেয়া তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে রোহিঙ্গাদের পর্যায়ক্রমে ফেরত নেয়া হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) প্রতিনিধিদের নিয়ে বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব।
ক্যাম্প পরিদর্শনকালে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ২৪ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গার আরেকটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কামাল।
এদিকে, মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল ক্যাম্পে আসায় খুশি হয়েছেন রোহিঙ্গারা। তাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের এনডিসি কার্যকর নয়, তাই মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের ফেরত নেয়া হোক।
দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছেন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধি দল। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন এবং নির্যাতিত কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। পরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডি-৫ ব্লকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক।
প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিতে দুইদিন আগে ঢাকায় পৌঁছেন মিয়ানমার প্রতিনিধি দল। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি। পরে সেখান থেকে সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। দুপুরে দলটি ক্যাম্পে পৌঁছায়। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কক্সবাজার আসার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তারা যতক্ষণ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ততক্ষণ পুলিশের একটি টিম তাদের সঙ্গে ছিল।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/আরআইপি