বগুড়া জেলা পরিষদে তালা দিলেন আ.লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সদস্যদের বিরোধের জের ধরে অফিসের হিসাব শাখা ও হেল্প ডেক্স কক্ষে তালা ঝুলিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান (২) সুলতান মাহমুদ খান রনি।

গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রনি নিজে উপস্থিত থেকে তালা দেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সারাদিন এই তালা খোলা হয়নি। যার কারণে সকল প্রকার কাজকর্ম বন্ধ ছিল।

এদিকে অফিসে তালা দেয়ার প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে দিয়ে করিডোরে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সৃষ্ট পরিস্থিতির সমাধান হয়নি।

জানা গেছে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ছয় কোটি টাকা বন্টন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সদস্যদের বিরোধ চলে আসছিল।

বগুড়া জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার উচ্চমান সহকারী শফিকুল ইসলাম বাদশা জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ খান রনি অফিসের কর্মচারীদের বের করে দিয়ে হিসাব শাখা এবং হেল্প ডেক্স কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মঙ্গলবার কর্মচারীরা অফিসে এসে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি কর্মচারীদেরকে করিডোরে বসে থাকতে বলেন। এরপর অন্যান্য শাখার কর্মচারীরাও কাজ কর্ম বন্ধ করে দিয়ে একত্রিত হয়ে করিডোরে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে।

জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, চেয়ারম্যান সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করছেন। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করার জন্য সকল সদস্য চেয়ারম্যানকে তাগিদ দিলেও তিনি সদস্যদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে তার মতো করে কাজ করছেন। তারা গত ২৩ অক্টোবর একটি সভা করেন। এতে পরিষদের ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জন সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জনসংখ্যা অনুসারে বরাদ্দ বন্টন করার জন্য চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হবে। চিঠি দেয়া হলে চেয়ারম্যান সেই ব্যাপারে গুরুত্ব না দিয়ে প্রতি সদস্যকে ১০ লাখ টাকা করে প্রকল্প দিতে বলেন। এ কারণে সকলের সিদ্ধান্তে এই তালা লাগানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন জানান, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি টাকা তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। সদস্যদেরকে ২ কোটি, এমপিদের নামে ২ কোটি এবং চেয়ারম্যানের ২ কোটি টাকা। কিন্তু সদস্যরা তা মানতে নারাজ। তবে নীতিমালার বাইরে কোনো কাজ করা হয়নি বলে তিনি জানান।

লিমন বাসার/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।