একাধিক রোহিঙ্গা কিশোরীকে বিয়ে করেছেন আলিউল
স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন রেখে একাধিক রোহিঙ্গা কিশোরীকে গোপনে বিয়ে করে সংসার পাতার অপরাধে আলিউল ইসলাম (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আলিউল ইসলাম টেকনাফ হোয়াইক্যংমের ঘিলাতলী এলাকার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে ও তিন সন্তানের জনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুব্রত রায় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলিউল ইসলাম একে একে চারটি বিয়ে করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি বাংলাদেশি মেরী আকতার, রোহিঙ্গা কিশোরী ইয়াছমিন আক্তার (১৬) শাবনাজ পারভিন (২৬) সর্বশেষ রোহিঙ্গা কিশোরী তছলিমা আক্তারকে (১৬) বিয়ে করেন।
গত কয়েক মাস আগে দালালের মাধ্যমে উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা কিশোরী তছলিমা আক্তারকে গোপনে বিয়ে করে আলিউল ইসলাম গ্রামের বাড়ি হোয়াইক্যংয়ের ঘিলাতলীতে বসবাস করছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুব্রত রায় আলিউল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গা কিশোরীসহ তাকে আটক করেন।
এ সময় রোহিঙ্গা কিশোরী তছলিমা নিজেকে মিয়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) বলে স্বীকার করে। পরে আলিউলকে মোবাইল কোর্টে হাজির করা হলে রোহিঙ্গা কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে এক মাসের কারাদণ্ড দেন টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা। পরে রোহিঙ্গা কিশোরী তছলিমাকে ক্যাম্পে বসবাস করা তার বাবা-মায়ের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তছলিমা আক্তার উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ময়নারঘোনার ১৬ নং ক্যাম্প ব্লক সি-১২ তে বসবাসরত মৌলবী জুহুর আহম্মদের পালিত মেয়ে।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুব্রত রায় জানান, আলিউল ইসলাম রোহিঙ্গা কিশোরী তছলিমা আক্তারকে বিয়ে করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/পিআর