আমার ২০ ছেলে এক সেকেন্ডে নাই হয়ে গেছে
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে মানুষ আমাকে বারবার প্রশ্ন করছে, তারা কি গাড়িতে আবার আগুন দেবে? আবার মানুষকে পুড়িয়ে মারবে? মানুষের এসব প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারছি না। কারণ আমি নিজেও ভিকটিম। তাদের প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দেব আমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র আরডিএস বোমা আমার ওপর পড়েছে। সবচেয়ে বড় বোমা আমার ওপর ব্লাস্ট হয়েছে। যার বিচার এখনো পাইনি। আমার ২০ ছেলে এক সেকেন্ডের মধ্যে নাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লার পাগলা মেরি এন্ডারসনে ইউএনওডিসি কর্তৃক নৌ-পুলিশকে চারটি পেট্রলবোট ও জেটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, যে চেয়ারে আপনি বসে আছেন এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ার, আপনি একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই চেয়ারে বসে ষড়যন্ত্র করায় কয়েকদিন আগে সাবেক এক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ফাঁসি হয়েছে। তিনি এই চেয়ারে বসে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জাতির জনকের কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, জাবেদ পাটোয়ারী সাহেব আইজিপির চেয়ারে বসে আছেন। কয়েকদিন আগে সাবেক এক আইজিপির সাজা হয়েছে। তিনিও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ওরা আমাদের ছিঁড়ে খেতে চায়। ওরা বিভিন্ন নামে আসে। কোনো সময় ড. আবার কোনো সময় শিক্ষিত নামে। যারা আসে তারা দেশটাকে বেচে খেতে চায়। তারা সেনাবাহিনী নিয়ে কথা বলে, যে সেনাবাহিনী আমাদের দেশের সম্মান নিয়ে আসেন। ওরা আমাদের মূলে আঘাত করতে চায়।
শামীম ওসমান আরও বলেন, অনেকেই বলে বেড়াচ্ছেন সরকারের সময় নাকি শেষ। কিন্তু আমরা জানি সংবিধান অনুযায়ী সরকারের ধারাবাহিকতা থাকবে। আর যদি শেষ হয়েও যায় তাহলে আমরা জানি কীভাবে রাজপথ কাঁপাতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। ২৭ তারিখ আমরা আমাদের প্রস্তুতি দেখাব।
নৌ-পুলিশের ডিআইজি মারুফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, ইউএনওডিসির প্রোগ্রাম অফিসার সানাকা জয়া সাকারা, পুলিশের ডিআইজি মহসীন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি আবুল কালাম আজাদ ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহাবুব হাসান প্রমুখ।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম