বাবার আকুতি, প্লিজ আমার ছেলেকে আপনারা বাঁচান
নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র আবু জাফর ইমন মরণব্যাধি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। কিছুদিন আগে পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে তার এ রোগ। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা শুরু হয়েছে রাজধানীর ল্যাব-এইড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ খানের কাছে।
তবে এম এ খান বলেছেন, ইমন যে রোগে আক্রান্ত, তার সুচিকিৎসা দেশে সম্ভব হবে না। তাকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই ভারতে নিয়ে যেতে হবে এবং তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এজন্য ব্যয় হবে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা।
ইমনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার মেঘনা তীরের বিপন্ন জনপদ চর ফলকনে। তিনি ওই এলাকার আবু তাহের শিকদারের ছেলে। ইমন হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমি থেকে ২০১৫ এসএসসি এবং হাজির হাট উপকূল কলেজ থেকে ২০১৭ সালে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স ২য় বর্ষে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছেন।
অন্যদিকে, ছেলের রোগ জানার পর অসহায় হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। ব্যয়বহুল এ রোগের চিকিৎসার খরচ শুনে তারা হতাশ। ইমনের প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করতে এরই মধ্যে বাড়ির কিছু জমি বিক্রি করতে হয়েছে তাদের।
ইমনের বাবা আবু তাহের শিকদার জানান, ভাবতেই পারিনি আমার ছেলে এত জটিল রোগে আক্রান্ত। শোনার পর থেকেই আমাদের মাঝে হতাশা কাজ করছে। কীভাবে চিকিৎসা চালাবো, এই চিন্তা করতেই দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার। ডাক্তার বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে তাকে ভারতে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসায় নাকি প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে। অথচ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করার মতো অবস্থা আপাতত নেই আমার। তার প্রাথমিক চিকিৎসাতেই আমাকে জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এখন বিক্রি করার মতো কিছুই নেই আর।
তিনি বলেন, কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি সুদৃষ্টি দিয়ে হয়তো আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলেটা বেঁচে যাবে। মাঝে মধ্যেই গণমাধ্যমে দেখি অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন হৃদয়বান মানুষগুলো। মহান ওই মানুষগুলোর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমিও অসহায়, প্লিজ আমার ছেলেকে বাঁচান আপনারা।
ইমনের চিকিৎসায় সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা : আবু তাহের শিকদার, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-১০০০০২৪৫২, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কমলনগর শাখা, লক্ষ্মীপুর। যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২২৫৬৬৭১১ (বিকাশ) নম্বরে।
এমএএস/পিআর