ছাত্রলীগ নেতা রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলেন আ.লীগ নেতা লিটন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ১১:৫৩ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. তাওহিদুজ্জামান রানা ও দেড় বছরের শিশু আদনানের চিকিৎসার জন্য ৭০ হাজার টাকা দিল হংকং শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ লিটন।

লিটনের বাবা বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ ছাদু রোববার সকালে মির্জাপুর প্রেস ক্লাবে এসে রানার মা রেখা বেগমের কাছে ৫০ হাজার ও আদনানের দাদী রেজিয়া বেগমের কাছে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এর আগে লিটন রানার চিকিৎসায় আরও ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে রানার মা রেখা বেগম জানান।

গত ৩০ আগস্ট দেশের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজে ‘ছাত্রলীগ নেতা রানাকে বাঁচান’, ১৩ সেপ্টেম্বর ‘রানাকে বাঁচাতে ছাত্রলীগের যুদ্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি বিত্তবানদের নজরে আসলে অনেকেই সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল শাহজালাল (র.) মেডিকেল ইনস্টিটিউশন থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পাস করা তাওহিদুজ্জামান রানা উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি উপজেলার মহেড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। রানার বড় দুই বোন রয়েছে। এক বোনের বিয়ে দিয়েছেন। সংসারে রানার বড় এক বোন ও মা-বাবা রয়েছেন।

বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন পশুচিকিৎসক। গ্রামে গ্রামে গিয়ে পশুচিকিৎসা করে যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার চালাতে হয়। এর মধ্যে ছেলের গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ায় আয়-রোজগার বন্ধ করে ছেলের সঙ্গে ভারতের হায়দরাবাদে রয়েছেন। একদিকে সংসার চালানো অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসা সব মিলিয়ে রানার পরিবার এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। তাওহিদুজ্জামান রানা বর্তমানে গলায় ও ঘাড়ে ক্যান্সারে (ননহসকিন লিস্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে ভারতের হায়দরাবাদের যশোদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

rana

তাকে পর্যায়ক্রমে ৮টি ক্যামো থেরাপি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যামোতে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হবে। সে হিসাবে তার ৮টি ক্যামো-থেরাপির জন্য ১৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া থাকা খাওয়া ও ওষুধ বাবদ আরও টাকার প্রয়োজন। এ পর্যন্ত রানাকে ২টি ক্যামো দেয়া হয়েছে বলে রানার বড় বোন আশরাফুন্নাহার জানিয়েছেন।

এছাড়া রানার চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এমপি একাব্বর হোসেন ৫০ হাজার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে ১ লাখ ৮০ হাজার, মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আসিফ অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাজেদুর রহমান ৮৫ হাজার, মির্জাপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ৩১ হাজার, আওয়ামী লীগ নেতা আমেরিকান প্রবাসী সোলাইমান ২ লাখ, মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগ ৬৬ হাজার, আমেরিকান প্রবাসী তোফাজ্জল হোসেন ১০ হাজার, সিঙ্গাপুর প্রবাসী শহিদুল ইসলাম ২০ হাজার, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আব্দুল মোমেন ২৫ হাজার টাকা পৌঁছে দেন বলে রানার মা রেখা বেগম জানিয়েছেন ।

এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রানার চিকিৎসার জন্য দুই লাখ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করেন।

রেখা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ যুদ্ধ করে চলছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। রানা সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসুক এই কামনা করি।

এস এম এরশাদ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।