চিকিৎসকের অবহেলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীর মৃত্যু
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবন্ধী কন্যা মেহেরুন্নেসা খানম (১৫) মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় হাসপাতালের ২ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মেহেরুন্নেসা। তার বাবা সিলেট মেন্দিবাগ নোয়াগাঁওয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ।
রোগীর স্বজনরা জানান, গত বুধবার শারীরিক অসুস্থতার জন্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদের প্রতিবন্ধী কন্যা মেহেরুন্নেসাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আস্তে আস্তে তার অবস্থার উন্নতি হয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল থেকেই আবারও মেহেরুন্নেসার অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা চিকিৎসককে ডাকেন। এ সময় কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই ও ডা. ঝুমুর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই এই অজুহাতে রোগীর কাছেই যাননি। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলেও সেখান থেকে কেউ ওয়ার্ডে আসেননি। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একজন চিকিৎসক আসেন এবং মেহেরুন্নেসাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড়ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায়ই আমার বোন মারা গেছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনো চিকিৎসক আসেননি। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সেখানে উপস্থিত থাকলেও একবারের জন্য দেখতে আসেননি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী পরিচালক আব্দুল কালাম আজাদ বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখব, যদি কারও অবহেলা প্রমাণ পাওয়া যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেএইচ/জেএইচ