সিরাজগঞ্জে জামায়াত নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ২১
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ জামায়াত নেতা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত দুইদিনে মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার থেকে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলেন- ঘাটিনার ওসমানের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৮), পূর্বদেলুয়া গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (৩৫),কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের গঞ্জের আলী ফকিরের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৫০), কয়ড়া কৃষ্ণপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) সরাতলা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মুনছুর রহমান (৪০) গগন উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৬৫), হাজী ওয়াহাব আলীর ছেলে রেজাউল (৪৫), দারোগ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৮), হাজী হজরত আলীর ছেলে বাবলু (৪০), ইয়াকুব আলীর ছেলে ইউসুব আলী (২৮), কয়ড়া খামারবাড়ির জব্বার ফকিরের ছেলে মঞ্জু হোসেন (২৮), ভেংড়ী গ্রামের ছবুর আকন্দের ছেলে শাহিন আলম (২৫), হাজী মোজদার আলীর ছেলে শাহাদত (৩৮), মোন্নাফ আলীর ছেলে রবিউল করিম (২২), হাজী জালমাহমুদের ছেলে রেজাউল করিম (৪০), জহুরুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন (২০), কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জুয়েল রানা (২৬), সোলাইমান আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৩৬), মৃত বাহাদুর আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৬) ও একই গ্রামের গোলাম মওলার ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৫) এবং তাড়াশ উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে সুরুজ মিয়া (৩৫)।
গত দুইদিনে এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যতম আসামি পলাতক জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম খোকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লাপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ জানান, শনিবার বিকেলে থেকে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সাইফুল ইসলাম খোকাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে কয়ড়া চরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাশকতার মামলায় উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলাউদ্দিন আল আজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় আনার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম খোকার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা হাতকড়াসহ পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই রাতেই এসআই রিপন কুমার সাহা বাদী হয়ে ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/জেআইএম