ডিভোর্স চান ক্রিকেটার মোসাদ্দেক, সময় চাইলেন সামিয়া
অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষাকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছে।
বৈঠকে বিয়ে বিচ্ছেদ থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্তে নিজের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন মোসাদ্দেক। তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীন রয়েছেন সামিয়া। পাশাপাশি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও একদিন সময় চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে দুই ধাপে সামিয়া ও মোসাদ্দেকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অধিদফতরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সামিয়া ও তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন তিনি। এরপর বিকেল সোয়া ৩টা থেকে মোসাদ্দেকের কথা শোনেন। পরে লিখিত জবানবন্দি শেষে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন মোসাদ্দেক।
জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর খালাতো বোন সামিয়া শারমিন উষাকে বিয়ে করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর বছর দুয়েক দুইজনের সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। দাম্পত্য কলহ চরম আকারে রূপ নেয়।
এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট ময়মনসিংহ আমলী আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী উষা।
মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনার চিঠি হাতে পায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর। সেই সঙ্গে আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সময়সীমা বেঁধে দেন আদালত। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের দিকে দৃষ্টি ছিল সবার।
এ বিষয়ে অধিদফতরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বলেন, দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সামিয়া অধিদফতরে আসেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা তার সঙ্গে কথা বলেছি। সামিয়ার কাছে জানতে চেয়েছি তুমি কী সিদ্ধান্ত নিতে চাও? উত্তরে সামিয়া জানিয়েছে, আমাকে একদিন সময় দেন। আমার ছয় ভাই আমার অভিভাবক। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সিদ্ধান্ত জানাব। তার প্রত্যাশা মাফিক তাকে সময় দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ৯০ দিন না হওয়ায় এখনো ডিভোর্স কার্যকর হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। ফলে সমঝোতা বৈঠকের শুরুতেই মোসাদ্দেককে পুনরায় সংসার করার অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু মোসাদ্দেক ডিভোর্সের বিষয়ে নিজের অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।
মোসাদ্দেকের জবানবন্দির বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা শারমিন শাহজাদী বলেন, দেড় বছর ধরে সামিয়া নাকি মোসাদ্দেককে বলেছে, তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। প্রায় সময়েই একথা বলেন। আবার মোসাদ্দেককে সন্দেহও করেন। ডিভোর্সের পর আইনত যেটা পাবে সেটা সামিয়াকে পরিশোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন মোসাদ্দেক। সামিয়া ও তার পরিবার সিদ্ধান্ত জানানোর পর মোসাদ্দেকের লিখিত জবানবন্দিসহ আদালতে নির্ধারিত সময়েই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানান শারমিন শাহজাদী।
এএম/এমএস