শিক্ষকের এক ঘুষিতে অজ্ঞান ছাত্র
ক্লাসের ফাঁকে পানি পান করতে যাওয়ায় ছাত্রকে এক ঘুষি দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেছেন প্রধান শিক্ষক। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সহপাঠীরা অজ্ঞান শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ বেপারীকে (১৫) উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার বাড়ৈর বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্ররা।
আহত ছাত্র রিয়াজ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মো. মাজেদ বেপারীর ছেলে এবং বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার মেকানিক্যাল বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্র।
রিয়াজের সহপাঠীরা জানায়, রিয়াজ ক্লাসের ফাঁকে পানি পান করতে যায়। এ সময় প্রধান শিক্ষক রিয়াজকে ক্লাসের বাইরে দেখে ঘুষি মারে। এতে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রিয়াজ। সহপাঠীরা রিয়াজকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীথিকা সরকার, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার বাড়ৈ বলেন, বিদ্যালয়ের দোতলার একটি কক্ষে শিক্ষকদের মিটিং চলাকালীন ভোকেশনাল শাখার মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা গোলমাল করছিল। এ সময় রিয়াজকে থাপ্পড় দিয়ে ক্লাসে যেতে বলেছি। তবে এর বেশি কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতনের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে ছুটে যাই। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। আহত ছাত্রের চিকিৎসা চলছে।
সাইফ আমীন/এএম/এমএস