সিদ্ধিরগঞ্জে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ১০
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় একটি স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিজয়ী প্রার্থীর ভাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপুসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
ওই সময়ে ঘটনার ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় একজন ফটো সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টায় এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের পর সন্ধ্যায় ঘোষিত ফলাফলে অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে আমিনুল ইসলাম, আলী আহম্মদ মোল্লা, আব্দুল মোতালিব, মনির হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা প্রতিনিধি হিসেবে সাদিয়া ইসলাম ময়না নির্বাচিত হয়।
রাত ৮টার দিকে সাদিয়া ইসলাম ময়না ও মোতালিবের পক্ষের লোকজন তাঁতখানা এলাকাতে বিজয় মিছিল বের করে। ওই সময়ে ময়নার লোকজনদের বাঁধা দেয় মোতালিবের লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এতে সাদিয়া ইসলাম ময়না, তার ভাই মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, অপর ভাই থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজান, ইকবাল হোসেন, রাশেদ আহম্মেদসহ ১০ জন আহত হন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এদের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ অপু ও ইকবাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই সময় ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় ফটো সাংবাদিক কাজী আলমাস আলীর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া লোকজন।
আহতরা জানান, ময়না নির্বাচনে জয়ী হোক এটা মোতালিবের লোকজন চাইনি। কারণ ময়নার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ কারণেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোকজন এ হামলা করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) মো. সরাফত উলাহ জানান, বিজয় মিছিল ও পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তর্কবিতর্ক হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
হোসেন চিশতী সিপলু/বিএ