ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ও গুলি বর্ষণ
নড়াইলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল শহরের রাম কৃষ্ণ আশ্রমের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফরিদপুর জেলার এক ব্যক্তির কাছ থেকে নড়াইল সদরের আউড়িয়া গ্রামের এক প্রতারক সেনাবাহিনীতে চাকরি দেবার নাম করে ছয় লাখ টাকা নেয়। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় ভুক্তভোগী সোমবার নড়াইলে আসেন। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় শহরের রাম কৃষ্ণ আশ্রম এলাকায় এক সালিশ বৈঠক বসে। শলিশে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা ভুক্তভোগী ও প্রতারকের পক্ষ নেয়।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যক্তি ছয় লাখ টাকা ফেরত নিতে আসলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ পুনরায় একে অপরের (ভুক্তভোগী ও প্রতারক) পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিকেলে শহরের রাম কৃষ্ণ আশ্রমের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল মাহমুদ তুফান জাগো নিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। তবে মারাত্মক কোন ঘটনা ঘটেনি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা জাগো নিউজকে জানান, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেল দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আর এরই জের ধরে মঙ্গলবার ধাওয়া পাল্টা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মতিয়ার রহমান জাগো নিউজকে জানান, শুনেছি এক ব্যক্তি চাকরির জন্য নড়াইলের একজনকে ছয় লাখ টাকা দিয়েছিল। চাকরি দিতে না পারায় সেই ব্যক্তি মঙ্গলবার টাকা নিতে আসে।
এ নিয়ে মঙ্গলবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছেলেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সমস্যার সাময়িক সমাধান করে এসেছি। তবে কোন গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেনি।
হাফিজুল নিলু/এআরএ/এমআরআই