প্রকাশ্যে সাবেক সেনা সদস্যের চুল কেটে দিল এক প্রভাবশালী


প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৫

চাঁদা না পেয়ে পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে বাজারে খালেক হাওলাদার (৭০) নামে সাবেক এক সেনা সদস্যের চুল কেটে অপদস্থ করেছে লিটু মুন্সী নামে এক প্রভাবশালী।

শুধু তাই নয়, তার চুল কেটে মাথায় ক্রস চিহ্ন একে দিয়েছেন লিটু মুন্সী।  এরপর লোকজন দিয়ে মারধরের পাশাপাশি নানাভাবে নাজেহাল করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।   

গত ৫ আগস্ট এ ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ধানিসাফা ইউনিয়নের সাফা বাজারে।  লিটু মুন্সীর ভাই ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি।  এ ঘটনায় মামলায় করেছেন খালেক হাওলাদার।  তবে কোনো আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, সাফা বাজারে লিটু মুন্সীর প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান রয়েছে।  সেখানেই ডেকে নিয়ে সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল খালেক হাওলাদারকে অপদস্থ করা হয়।
/
ঘটনার শিকার খালেক হাওলাদার বলেন, আমার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে ফোন করে লিটু তার দোকানে দেখা করতে বলেছিল।  খবর পেয়ে দেখা করতে গেলে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা চায়।  প্রশ্ন করতেই লিটু বলে, তোর ছেলে বিদেশ থাকে, তাই টাকা দিবি।  ছেলেকে ধার করে বিদেশে পাঠাইছি, তাই টাকা দিতে পারব না জানালেই মারধর শুরু করে।  তার কিল-ঘুষিতে মাটিতে পড়ে যাই।  তখন কয়েকজন ধরে দোকানের পেছনে নেয় এবং বাজার ভর্তি লোকের সামনে জোর করে ক্রস চিহ্নের মতো করে মাথার চুল কেটে দেয়।  খবর পেয়ে আমার বড় ছেলে ও স্ত্রী ছুটে গেলে তাদেরও মারধর করে লিটু।  থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি।  পরে বরিশাল র‌্যাব-৮ অফিস থেকে থানায় জানালে পুলিশ মামলা নেয়।  এখন লিটুর লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।

খালেক হাওলাদারের ছেলে রিপন হাওলাদার বলেন, বাবাকে বাজারভর্তি লোকের সামনে এভাবে অত্যাচার করল।  এখন হুমকি দিচ্ছে পাল্টা মামলা করার, চোখ তুলে নেওয়ার।  ওদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

ধানিসাফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, ঘটনা সত্য কিন্তু তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকায় কেউ কিছু বলতে পারে না।

লিটু মুন্সীর ভাই ধানিসাফা ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মুন্সী বলেন, খালেক হাওলাদার ওঝা।  সে এলাকার কয়েকজন নারীকে ঝাড়ফুঁক দিয়ে প্রতারণা করেছে।  সে কারণে আমার ভাই তাকে মেরেছে।  কিন্তু এভাবে তার আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি।

এ ঘটনায় পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন বলেন, মামলা যখন হয়েছে আসামিও গ্রেফতার হবে।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।