গাজীপুরের সেফহোম থেকে পালিয়ে গেল ১৭ নিবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফহোম) থেকে ১৭ নিবাসী পালিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিখোঁজ আরও তিনজন।

শুক্রবার রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোগড়খাল এলাকায় অবস্থিত ওই কেন্দ্রে থেকে পালিয়ে যাওয়া সবাই নারী, কিশোরী ও শিশু। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Gazipur-Pic

মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ নওয়াজ দিলরুবা জানান, ওই আবাসন কেন্দ্রের দোতলার জানালার গ্রিল ভেঙে এবং খাটের বিছানা দিয়ে ছাদের সঙ্গে বাউন্ডারি ওয়াল পর্যন্ত সিঁড়ি তৈরি করে একে একে ১৭ নিবাসী পালিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে আবাসন কেন্দ্রের লোকজন টের পেয়ে দুজনকে ছাদ থেকে আটক করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ কেন্দ্রের আশপাশ এলাকা থেকে আরও চারজনকে উদ্ধার করে। আজ (শনিবার) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে পুলিশ আটজনকে উদ্ধার করেছে। আবাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা গাজীপুর থেকে পুলিশ নিয়ে মির্জাপুর থানা থেকে আটক আটজনকে আনার জন্য রওনা হয়েছেন। শনিবার বেলা ১টা পর্যন্ত তিনজন নিবাসীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশে সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনকে প্রধান করে তিনি সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Gazipur-Pic

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের সহকারী হোস্টেল সুপার পারভীন আক্তার জানান, এই কেন্দ্রে ৩৪ জন নিবাসী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩২ জন নারী ও কিশোরী এবং দুইজন শিশু।

এদিকে মহিলা, শিশু ও কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসন কেন্দ্র থেকে নিবাসী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ নওয়াজ দিলরুবা, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এসএম মোকছেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।