মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলে নাইটগার্ডের কাণ্ড
ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) ছাত্রী হোস্টেলে ‘ভূত’ সেজে ছাত্রীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে নাইটগার্ডের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ‘ভূতের’ ভয়ে পাঁচজন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সাথী, তিথি ও সুমাইয়া নামে তিন ছাত্রীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নাইটগার্ড হাসেম মেয়েদের বাথরুমে ঢোকে। এ সময় বাথ রুমে ঢুকে নাইটগার্ড ভৌতিক আওয়াজ শুরু করে। ভয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে নাইটগার্ড মাহিন নামে এক ছাত্রীর নাম ধরে ডাকে। এ সময় সাথী নামে এক ছাত্রী উঁকি দিয়ে দেখেন নাইটগার্ড সাদা পোশাক পরে জানালার পাশে দাড়িয়ে আছেন। এই দৃশ্য দেখে সাথী, তিথি, সুমাইয়া, ববি ও লুনা ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ভয়ে এ সময় ছাত্রী হোস্টেলের আরও ৬ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তিনজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ছাত্রীদের অভিভাবকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং মেয়েদের বাসায় নিয়ে যান। বাড়ি ফিরলেও তিথি ও সাথী নামে দুই ছাত্রী এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি বলে জানা গেছে।
যশোরের ধর্মতলা ও মেহেরপুর জেলা শহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই অভিভাবক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মেয়েরা ভয় পেয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে নাইটগার্ড হাসেম জড়িত বলে মেয়েরা আমাদের জানিয়েছে।
লাবনী, সুবর্ণা, দৃষ্টি ও সাথীসহ অনেকের অভিযোগ, নাইটগার্ড হাসেম দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই সমস্যা হচ্ছে। রাতে নাইটগার্ড মেয়েদের বাথরুম ব্যবহার করে নোংরা করে রাখেন। মেয়েদের বাথরুম নাইটগার্ড কেন ব্যবহার করবেন?
ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বলেন, ছাত্রী হোস্টেলে ৫০ জন মেয়ে আছে। মেয়েরা ভয় পায় বলে সেখানে মিলাদও দেয়া হয়েছে। শুনেছি নাইটগার্ড এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সে ভূত সেজে ভয় দেখিয়েছে। দ্রুতই নাইটগার্ডকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএআর/পিআর