নরসিংদীতে বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল
নরসিংদীর সদর উপজেলায় আশকর আলী নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসক বলছেন, স্টোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে নিহতের স্বজনরা বলছেন, প্রতিপক্ষের হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশকর আলী শ্রীনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নরসিংদীর মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল করিমপুর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফজুর বাড়ি ও বদলী বাড়ির লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে দুই পরিবারের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে ফজুর বাড়ি লোকজন বদলী বাড়ির এক ছেলেকে থাপ্পর মারে। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আশফাক আলী গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজন ফরহাদ মিয়া বলেন, হামলার সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া ইট এসে আশকর আলী মাথায় লাগে। এতে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য ও ফজুর বাড়ির সেন্টু মিয়া বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বিরোধ চলছে। কিন্তু আজকে কোনো ঝগড়া বা হামলার ঘটনা ঘটেনি। আশকর আলী স্টোক করে মারা যায়। এখন তারা মামলা দিয়ে আমাদের এলাকা ছাড়া করতেই হত্যার গুজব ছড়াচ্ছে।
গ্রামের পল্লি চিকিৎসক আলমঙ্গীর সরকার বলেন, চেম্বারে নিয়ে আসার পর নিহতের মেয়ে আমাকে জানিয়েছেন স্টোক করেছে। তারপর আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাইনি। লক্ষণ দেখে মনে হয় স্টোক জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম বলেন, সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে। এর আগে কিছু বলা যাবে না।
নরসিংদী শহর ফাঁড়ির এস আই মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মরদেহের সুরুতহাল করা হয়েছে। শরীরের কোথাও কোনো বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মাথায় একটু দাগ ছিল। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সঞ্জিত সাহা/আরএ/পিআর