কুমার নদে অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকিতে ব্রিজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৮
ছবি-ফাইল

ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার কুমার নদে একাধিক অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে একই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ ব্রিজসহ একই নদের ওপর ভীমের কান্দি ব্রিজ। দিনের পর দিন এভাবে বালু উত্তোলনে ব্রিজ ছাড়াও নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদেরও হুমকির মুখে ফেলেছে সুযোগ সন্ধানী কিছু বালু ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগি এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই ড্রেজার মালিকরা এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বালু উত্তোলনকারীদের কেউ বাধা দিতে গেলে উল্টো তাদেরই নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায়ও ব্রিজ দুটি হুমকিতে ও নদীর পাড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ কুমার নদের ওপর দুইটি্র ব্রিজের পাশেই একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাসব্যাপী বালু উত্তোলন করে আসছে একটি মহল। রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে এবং প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে চলছে বালু উত্তোলন। কুমার নদ হতে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা পাইপ লাইন টেনে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

ড্রেজার মালিক ইলিয়াছ জানান, স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের ভাড়া করে এনেছে। তারাই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, প্রতি ড্রেজার বাবদ প্রতিদিন লেবার ও মেশিন মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা পেয়ে থাকি।

এ বিষয়ে ভাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহাবুর উর রহমান বলেন, অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কুমার নদ হতে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষেধ। কিন্তু তারপরও যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, শিগগিরই ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।