লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী, দুই সুপারভাইজারের কারাদণ্ড
বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে এমভি পারাবাত ও টিপু লঞ্চের দুই সুপারভাইজারকে তিন দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এমভি পারাবাত লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজার সেলিম হোসেন ও টিপু লঞ্চের লিটু দাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে এমভি পারাবাত ও টিপু লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি যাত্রী ওঠানো হয়। লঞ্চ ছাড়ার আগে যাত্রীতে টইটুম্বুর হয়ে যায়। লঞ্চের ছাদ এমনকি প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের কেবিনের সামনের স্থানও দখল করে নেয় যাত্রীরা। এরপরও লঞ্চ দু’টির ঘাট সুপারভাইজার সেলিম হোসেন ও লিটু দাসের নির্দেশে আরও যাত্রী ওঠানো হয়। বিষয়টি লঞ্চঘাটে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নজরে এলে তিনি এমভি পারাবাত লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজার সেলিম হোসেন এবং টিপু লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজার লিটু দাসকে তিন দিন করে কারাদণ্ড দেন।
বরিশাল নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. আবু তাহের জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে দুই লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজারকে কারাদণ্ড এবং ২০০ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাইফ আমীন/আরএআর/জেআইএম