চট্টগ্রামে ৭ জলদস্যুকে গ্রেফতার করলো নোয়াখালী পুলিশ
বঙ্গোপসাগর, মেঘনা ও তৎসংলগ্ন নদী এলাকায় খুন, গুম, অপহরণ জেলেদের নৌকায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজীর সঙ্গে জড়িত জলদস্যু কামাল বাহিনীর সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ নোয়াখালী পুলিশ। রোববার চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা করা হয়।
এসময় বাহিনী প্রধান কামাল পালিয়ে যান। গ্রেফতারকৃত দস্যুরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার মো. বাবুল, শাহাজ উদ্দিন, আক্তার হোসেন, সাকাওয়াত হোসেন, আলাউদ্দিন, সেকান্দার ও ভোলা জেলার লাল মোহনের নয়ন পাটোয়ারী।
অভিযান নেতৃত্ব দানকারী নোয়াখালী জেলা সদরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায় চট্টগ্রামে অবস্থানরত জলদস্যু কামাল বাহিনী দুই একদিনের মধ্যে সন্দ্বীপ হয়ে মেঘনা নদীতে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সংবাদ পেয়ে তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ চট্টগ্রামের ইপিজেড, বন্দর ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের ভাড়া করা বিভিন্ন বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বঙ্গোপসাগর ও মেঘনায় মাছধরা ট্রলার ও নৌকা চাঁদা আদায়ের প্রায় এক হাজার টোকেনসহ চাঁদা প্রদানকারী জেলেদের নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত ১০ থেকে ১২টি সিম উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, জলদস্যু বাহিনী প্রধান কামাল ওরফে কাউয়া কামাল বাহিনীর দস্যুরা গত মাসে ট্রলারের মাঝি সদর উপজেলার চরমজিদের আলাউদ্দিনকে হত্যা করে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সাগর ও নদী পথে খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
মিজানুর রহমান/এমজেড/এমআরআই