চট্টগ্রামের ৩০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৮
ফাইল ছবি

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ৩০ গ্রামের মানুষ আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

নির্দিষ্ট মতবাদের অনুসারী এসব গ্রামের বাসিন্দারা সকালে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর গ্রামে গ্রামে পশু কোরবানি দিয়েছেন তারা।

প্রচলিত নিয়মের আগে ঈদ উদযাপনকারীরা অধিকাংশই দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার বাসিন্দা। তারা সকলেই সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের মুরিদ।

সোমবার সকাল ৯টা ও ১০টায় মির্জারখীল দরবার শরীফে দুই দফা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন হাজারো মুসল্লি। সাজ্জাদানশীন মাওলানা আবদুল হামিদ শাহর ইমামতিতে মীর্জাখীল দরবার শরিফে সকাল ৯টায় ও সাজ্জাদানশীন মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে একই দরবারে সকাল ১০টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জারখীল দরবার শরিফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারাল, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখের খীল, ডোংরা, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান, ফটিকছড়ির কিছু এলাকাসহ চট্টগ্রামের মোট ত্রিশটি গ্রামের মানুষ মঙ্গলবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

এছাড়াও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোক একই সময়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

প্রায় দুশ বছর আগে তৎকালীন পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান (রহ.) একদিন আগে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা, ঈদ এবং কোরবানি পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে সারাদেশে মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা এ নিয়ম পালন করে আসছেন।

এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।