যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
সাভারে যুবলীগ নেতা সেলিম মণ্ডলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সেলিমের ভাই জুয়েল মণ্ডলকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সেলিম পলাতক। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ।
আটক জুয়েল বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ভাই সেলিম মণ্ডল সাভার থানা যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য। আয়েশা বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর গ্রামের সোরহাব হোসেনের মেয়ে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের স্বরুপপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে এক নারীর ঝলসানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রোববার বিকেলে নিহতের পরিবার ওই ওই নারীর মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
নিহতের ভাই উজ্জ্বল অভিযোগ করেন, ৫ বছর আগে তার বোন আয়েশা আক্তারের সঙ্গে সেলিম মণ্ডলের বিয়ে হয়। কিন্তু পরিবারের অমতে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করায় আয়েশাকে নিয়ে সেলিম পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লায় একটি ফ্লাটে থাকতেন। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগের বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠানে বেড়াতে যায় আয়েশা। সেখানে সেলিম তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে আসলে দুই স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় সেলিম ক্ষিপ্ত হয়ে আয়েশাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর একদিন পর থেকেই নিখোঁজ হয় আয়েশা আক্তার। এ ঘটনায় সেলিম মণ্ডল সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছুদিন আগে আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার সকালে মরদেহটি দেখে স্বজনরা শনাক্ত করেন।
আল-মামুন/জেএইচ