এক গরু নিয়ে ঘাম ঝরছে পুলিশের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০১৮

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় একটি গরুর মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে রীতিমতো ঘাম ছুটছে পুলিশের। থানায় সমাধান না হওয়ায় বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

এ পর্যন্ত দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে। কোনো সুরাহা না হওয়ায় গরুটি প্রায় তিন মাস ধরে নান্দাইল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এটির লালন পালনে রুটিন করে সময় দিচ্ছেন একজন পুলিশ কনস্টেবল।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় তিন মাস আগে থানা হেফাজতে আসা গরুটির মালিকানা দাবি করে দুইজন। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। নান্দাইল উপজেলার কৃষক আব্দুল গনী ও হুমায়ুন মিয়া গরুর মালিকানা দাবি নিয়ে আদালতে লড়ছেন।

আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একটি করে পুলিশ অপরটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। পুলিশের প্রতিবেদন বলছে, গরুটি আব্দুল গনীর, আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার প্রতিবেদন বলছে, গরুর মালিক হুমায়ুন মিয়া। দুই কর্মকর্তার দাবি তাদের তদন্তই সঠিক।

নান্দাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, পুলিশ প্রতিটি স্তরে গিয়ে তদন্ত করেছে। তদন্ত রিপোর্টে কোনো ভুল নেই।

অপরদিকে নান্দাইল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মলয় কান্তি মোদক বলেন, পুলিশ গরুর কী বুঝে। আমরা এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার তদন্তই সঠিক।

বর্তমানে গরুটি থানা হেফাজতে থাকায় বিপাকে পড়েছে পুলিশ। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় এর লালন পালন করতে হচ্ছে পুলিশকে। একজন কনস্টেবল প্রতিদিন রুটিন করে দেখভাল করছে গরুটির।

জানা গেছে, গরুটির বর্তমান বাজার মূল্য ২৬ হাজার টাকা। তবে এই নিয়ে দ্বন্দ্বে মামলা মোকদ্দমায় উভয় পক্ষ মিলিয়ে খরচ করেছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

আব্দুল গনী জানান, গরুটি তার। প্রায় এক বছর ধরে লালন পালন করেছেন তিনি। পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে গরুটি তার। আদালতে হুমায়ুন মিয়া পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করলে আদালত আবার তদন্ত করতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত না করে রিপোর্ট দেন গরুটি হুমায়ুন মিয়ার।

হুমায়ুন মিয়া বলেন, আমার গরুটি বেশ কিছুদনি আগে হারিয়ে যায়। এখন সেটি খুঁজে পেয়েছি। তাই আমি এর মালিকানা চাই। কিন্তু আব্দুল গনী দাবি করছেন গরু তার। তাই মামলা চলছে।

পুলিশ জানায়, শেষ পর্যন্ত যিনি এই গরুর মালিকানা পাবেন তাকেই বহন করতে হবে থানায় থাকাকালীন গরুর ব্যয়ভার। আদালত সিদ্ধান্ত দিলেই গরুটি তার মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।