কোরবানিতে দেশি গরুর চাহিদা, দামও বেশি
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার অরনকোলা হাটে এবার দেশি গরুর যথেষ্ট আমদানি হয়েছে। ফলে সহজেই কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্টরা।
সাধারণভাবে প্রতি মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। তবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হাটে বিক্রেতাদের আগমন বাড়ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষাকষিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই পশুর হাট।
বিক্রেতারা বলছেন, গত তিন বছর থেকে বিভিন্ন পশুর হাটে ভারতীয় গরু কম আসছে। ক্রেতাদের কাছে দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। শুধু তাই নয় কয়েক বছর ধরে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই বাড়তি লাভের আশায় বাড়িতে ছোট আকারের খামার তৈরি করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারগুলোতে গরু পালনের খরচ বেড়েছে। তাই দেশি গরুর দাম এবার অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
অরনকোলা পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট সাইজের গরুর (৬০ কেজি মাংস) দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের গরুর (৮০ কেজি মাংস) দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজার ও বড় সাইজের গরুর (১০০-১৪০ কেজি মাংস) দাম ৯০ থেকে ১ লাখের ওপরে হাঁকা হচ্ছে।
ছলিমপুর ইউনিয়ন থেকে আসা গরু বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন গরুর আমদানি ও কেনাবেচা বেড়েছে। তবে হাটে দেশি গরুর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। কারণ সারা বছর ধরে একজন খামারিকে গরু লালন-পালন করতে হয়। বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এর উপর কৃষি বিভাগের দেখানো স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের খরচও রয়েছে। সব মিলিয়ে লালন-পালনের খরচ বাড়ায় গরুর দাম এবার কিছুটা বেড়েছে। তবে খরচ বাদে সামান্য লাভ পেলেই গরু ছেড়ে দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
হাটের ইজারাদার রুনু মন্ডল বলেন, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া রয়েছে। মাইকের মাধ্যমে সবসময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেন করতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জাল নোট শনাক্ত করার জন্য মেশিন রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে পশুর হাট ধীরে ধীরে জমে উঠছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ/আরএআর/এমএস