শ্রেণিকক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, ধরে ফেলল ছাত্ররা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮
ফাইল ছবি

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার নিলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকার আপত্তিকর কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্লাসবর্জন করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্লাসবর্জন করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। সংবাদ পেয়ে দুপুরে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম স্কুলে হাজির হয়ে শিক্ষার্থীদের একটি কক্ষে আটকে রেখে শান্ত করেছেন।

স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা জানান, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবদুল মোতালেব ও অপর সহকারী শিক্ষিকা সীমা রানী সরকার আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হয়।

স্কুল ক্যাম্পাসে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের হাতেনাতে আটক করে চিৎকার শুরু করলে দুই শিক্ষক তড়িঘড়ি করে স্কুলত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে শিক্ষাথীরা ক্লাসবর্জন করে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। দুপুর ১২টায় ফুলগাজী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীকে একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আন্দোলন না করে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় মো. মোতালেব ও সীমা রানী সরকারকে স্কুল থেকে সাময়িক ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তারা।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা সীমা রানী সরকার বলেছেন, বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোতালেব বলেন, এ নিয়ে কথা বলার সময় নেই।

এদিকে, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজিব মেম্বার এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে উচ্চমহল থেকে নিষেধ রয়েছে বলে জানান।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা শুনে আমি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম স্কুলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে দুই শিক্ষককে কিছু সময়ের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস লিখিতভাবে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।