২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২১ কি.মি. সড়ক সংস্কারের ৬ মাস না যেতেই...

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৮

ঝিনাইদহের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া চারটি মহাসড়ক সংস্কারের ৬ মাসের মধ্যেই ভেঙেচুরে বেহাল অবস্থা। দেখা দিয়েছে ফাটল, সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দের। যার কারণে বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। ভাঙা রাস্তায় চলাচলের সময় যানবাহন নষ্ট হচ্ছে, দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে সব ধরনের যাত্রীদের। তবে সড়কের ক্ষতির জন্য বৃষ্টিকেই দায়ী করলেন সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা।

জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের রয়েছে মহাসড়কের চারটি রুট। ঝিনাইদহ-যশোর, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক দিয়ে দূর-পাল্লাসহ সকল যানবহন চলাচল করে থাকে। চলতি অর্থ বছরের আঞ্চলিক সড়কসহ এ চারটি রুটের প্রায় ২১ কিলোমিটর রাস্তা ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়। এর মধ্যে সর্বশেষ গত মাসে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার করা হয়।

jagonews24

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা সড়কের হলিধানি, বৈডাঙ্গা, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিষয়খালী, পাগলাকানাই, ছালাভরা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আরাপপুর, ভাটই, গাড়াগঞ্জ, চড়িয়ারবিল, শেখপাড়া. ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কের পোড়াহাটিসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

এলাকাবাসী হোসেন মোল্লা জানান, ঝিনাইদহকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে। মংলা নৌ-বন্দর ও বেনাপোল স্থল-বন্দরের অধিকাংশ মালামাল এ জেলার সড়ক দিয়েই উত্তরবঙ্গে আনা-নেয়া করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ সব রুটে চলাচলকারী মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

ট্রাক চালক মকিম উদ্দীন জানান, ভাঙা রাস্তায় গাড়ি বের করা আর মরণ হাতে নিয়ে বের হওয়া একই কথা।

jagonews24

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তানভির আহমেদ বরাবরের মতো বৃষ্টিকেই সড়ক নষ্টের মূল কারন হিসেবে দায়ী করছেন। এ দিকে তারা বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দের সৃষ্টি যেসব স্থানে হয়েছে সেটি নতুন করে সংস্কার করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।