চট্টগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সেলিম ভারতীয় নাগরিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৮

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার রেলগেট এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত তিন মাদক ব্যবসায়ীর একজন সেলিম মিয়া (২৭)। তিনি ভারতের ত্রিপুরার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত সেলিম মিয়ার মরদেহ কবর থেকে তুলতে বুধবার (১ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দফতরে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শুভাশীষ সিনহা।

ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামে নিহত ওই যুবকের নাম সেলিম মিয়া (২৭)। তিনি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার বক্সনগরের মৃত মনু মিয়ার ছেলে। সেলিম মিয়ার পরিবার তার মরদেহ ফিরিয়ে নিতে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিহত সেলিম মিয়ার ভারতীয় পাসপোর্ট নম্বর এল-২০৩০৫৫৯। তিনি বাংলাদেশি ভিসায় গত ২৩ জুলাই আগরতলা-আখাউড়া সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন। বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর থেকে সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই তিনি ভারতে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

এ খবর জানার পর ভারতীয় দূতাবাস পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর কবর থেকে মরদেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে। এর অংশ হিসেবে বুধবার সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন জমা দেয়া হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।

গত ২৫ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় খুলশী রেলগেট এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। ওই সময় তাদের মধ্যে দু’জনকে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ডালিম শেখ (২৯) ও মো. জাকির হোসেন (৩১) হিসেবে শনাক্ত করা হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপর ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেনি। পরে চার দিনের মাথায় ওই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম।

খুলশী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নোমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সোমবার রাতে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তার ছবি ও পাসপোর্টের কপি দিয়ে আমাদের জানানো হয়েছে। র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত তিনজনের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিটি ভারতের ত্রিপুরার সেলিম মিয়া। তবে তার মরদেহ যদি ফিরিয়ে নিতে চায় পরিবার সেটি আইনি পথেই যেতে হবে। কেননা তার মরদেহ দুদিন আগে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম দাফন করেছে।’

উল্লেখ্য, ২৫ জুলাই র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মিমতানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘কুমিল্লা থেকে একটি প্রাইভেটকারে মাদকদ্রব্য আসছে বলে খবর পেয়ে খুলশী রেলগেটে র্যাবের টহল দল গাড়িটি থামায়। সেসময় গাড়ি থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি করেন। এরপর ঘটনাস্থলে তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গাড়ি থেকে ১২০ কেজি গাঁজা, দুটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছিল।’

জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।