সিলেটের ১৩৪ কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩৪টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালটপেপার, ব্যালটবক্স, অমুচনীয় কালি এবং সীলসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার দুপুর ১টার দিকে নগরের মাছিমপুরস্থ আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের নিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে রওয়ানা হন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মো. আলীমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে আমরা প্রস্তুত। সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। যথাসময়েই তা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই আইনশৃঙখলা বাহিনী তাদের নির্বাচনী দায়িত্বপালন শুরু করেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানে মোট তিন হাজার ২শ কর্মকর্তাকে দুই দিনে দুই ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (৩০ জুলাই) সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে।
এবার সিসিকের চতুর্থ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইসি। বিশেষ করে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জানা যায়, সিলেট সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩৪টি, ভোটকক্ষ ৯২৬টি। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ১৩৪ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতিটি ভোটকক্ষে একজন করে ৯২৬ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে দুইজন করে ১৮৫২ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। সবমিলিয়ে এবার নির্বাচনে দুই হাজার ৯১২ জন কর্মকর্তা প্রত্যক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে আরও ২৮৮ জন কর্মকর্তাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মূল দায়িত্বে থাকা কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে এই অতিরিক্ত কর্মকর্তাদের কাজে লাগানো হবে। এই তিন হাজার ২শ কর্মকর্তাকে দুই দিনে দুই ধাপে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানসহ ৩৪ জন প্রশিক্ষক তাদের প্রশিক্ষণ দেন।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে ইসি। শনিবার থেকেই সিলেটে মাঠে নেমেছে ১৪ প্লাটুন বিজিবি। আরও চার প্লাটুন ভোটের দিন কাজ করবে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম হিসেবে।
নগরের ২৭ ওয়ার্ডে র্যাবের ২৭টি টিম, প্রতি তিন ওয়ার্ড মিলিয়ে একটি করে মোট ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এক সদস্যের একটি নির্বাচনী ট্রাইবুন্যাল, ৯ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষকও ভোটের মাঠে তৎপর থাকবেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার। তারা ১ জন মেয়র, ২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (এর মধ্যে বিনা প্রতিন্দ্বিতায় ইতিমধ্যেই ১ জন নির্বাচিত) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৯ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। এবার সিলেটে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে এক নারীসহ ১২৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।
ছামির মাহমুদ/আরএ/পিআর