বরিশালে মেয়র প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৮

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার ও হয়রানি, হামলা, ভয়ভীতি দেখানো এবং পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন বিএনপি, বাসদ ও জাপার মেয়র প্রার্থী।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. মাহবুব তালুকদারের সঙ্গে মেয়র প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় তাারা এ অভিযোগ করেন।

সভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার, বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা. মনিষা চক্রবর্তী, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসসহ ছয় মেয়র প্রার্থী অংশ নেন। এ সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কাউকে সভা কক্ষে থাকতে দেয়া হয়নি।

মতবিনিময় শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি সকলের অভিযোগ শুনেছি। এসব অভিযোগ নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন রিটানিং কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা। তাদের সেরকম দিক-নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

সিটি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও প্রার্থীদের মধ্যে এখনও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। অপর দুটি সিটির চেয়ে বরিশালের নির্বাচন আরও সুন্দর হবে বলে আশা করছি।

তবে নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার ও বাসদের প্রার্থী ডা. মনিষা চত্রক্রবর্তী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার মতো কোনো পরিবেশ তারা দেখছেন না। নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের ওপরও তারা আস্থা রাখতে পারছেন না।

মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করার জন্য উচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছেন। কিন্ত পুলিশের গ্রেফতার অভিযান বন্ধ হয়নি। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশননের ওপর আস্থা নেই বলে স্পস্ট জানিয়ে দেন বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার।

বাসদের ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, তার কর্মী-সমর্থদের লাঞ্ছিত করছে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। ইসিতে একের এক অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থায় তিনিও ইসির ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে জানা হয়- পুলিশের গ্রেফতার-হয়ারানি এবং সরকার দলীয় কর্মীদের হুমকি-ধামকির কারনেণে ভোটারদের মধ্যে ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। আস্থা ফিরিয়ে এনে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করার দায়িত্ব এখন নির্বাচন কমিশনের।

সভাকক্ষ থেকে বের হওয়র পর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর কাছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থকদেরও মারধর করছে বিএনপি লোকজন। নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমিও এসব অভিযোগ জানিয়েছি।

তবে সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ইসির ওপর তার পুরোপুরি আাস্থা আছে।

সাইফ আমীন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।