ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : আহত ২


প্রকাশিত: ০৩:৩১ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৫

ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আবারো দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আলী ও রাসেল আহত হয়েছেন।  তাদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এদিকে সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।  তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়।  এতে সভাপতি মাহাবুব হোসেন রনি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় সানোয়ার পারভেজ পুলককে।  কিন্তু, ছাত্রলীগের একাংশ ওই কমিটিকে প্রত্যাখান করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আরেকটি কমিটি ঘোষণা দেয়।  ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় জিএম সিরাজী মিজান ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় সৌরভ দাসকে।  এ কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপি।

এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।  এরপরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিজান ও সৌরভ বাহিনী একত্রিত হয়ে রনি ও পুলক বাহিনীকে ধাওয়া করে।  পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।  পরে আওয়ামী লীগের অফিস থেকে রামদা ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ।  এ সময় শহরের দোকানপাট, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি জরুরি বৈঠক করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী, আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, পৌর মেয়র এসএমএ মঈন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ আপেল প্রমুখ।



ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি জাগো নিউজকে জানান, তারা আমাদের কমিটিকে মেনে নিতে পারছেন না।  তাই আমাদের উপর বার বার হামলা চালাচ্ছেন।

একাংশের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাস জাগো নিউজকে জানান, রনি ও পুলক গ্রুপের কিছু কর্মী আগে আমাদের উপর হামলা চালায়।  পরে এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।  

আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।  সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/এমএস/ এমএএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।