মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা : মেয়ে ফারজানার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:০৮ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮

টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় মেয়ে ফারজানার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল প্রথম ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে এ মামলার অন্যতম আসামি টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

দুপুর আড়াইটায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে নিহত ফারুকের মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিঠুন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। পরে ফারজানার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সমাপ্ত হয়। বিচারক এ মামলার অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।

এদিকে, সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন শুনানি শুরু করেন। পরে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনেন বিচারক। জামিন শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

আরিফ উর রহমান টগর/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।