ভোটের আগেই রাজশাহীতে ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৮

আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচন। কিন্তু গত ছয়দিন ধরেই ভোট হচ্ছে এখানে। নগরীর বিবি হিন্দু একাডেমী মহিলা ও পুরুষ ভোট কেন্দ্রে হচ্ছে ভোটের আগেই এ ভোট হচ্ছে। সেখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। পরীক্ষামূলক এই ভোটের আয়োজন করেছে নির্বাচন দপ্তর। এভাবে ভোটগ্রহণ চলবে আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত। শেষ দিন কেন্দ্রের সব ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে নেয়ার কথাও জানিয়েছে নির্বাচন দপ্তর।

নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছে, এখানকার পুরুষ ভোট কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন এক হাজার ৬৩৭ জন। আর নারী ভোট কেন্দ্রে ভোটার এক হাজার ৭৪৫ জন। পুরুষ কেন্দ্রে ৫টি এবং নারী কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬টি। এখন প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ইভিএমএ ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা।

নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এই সাধারণ ওয়ার্ডের ৫, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৪ এবং ৫ মেয়র প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা। কেন্দ্রটিতে একজন প্রিজাইডিং অফিসার ছাড়াও দায়িত্বপালন করবেন ১১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২২ জন পোলিং অফিসার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, গোপনে নয় প্রকাশ্যেই ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। ইভিএম যন্ত্র ভোটারদের জন্য রাখা হয়েছে ভোট কেন্দ্রের বারান্দা এমনকি আঙিনায়। ভোটাররা আসা মাত্রই খুটিনাটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। সহায়তা পেয়ে খুশি ভোটাররাও।

Rajshahi-EVM-Photo-04

পরীক্ষামূলক ভোটে দিতে এসেছিলেন হাসানুজ্জামান ও হুসনে আরা বেগম দম্পতি। ইভিএমএ ভোট দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত দুজনেই।

হুসনে আরা বলেন, এ পদ্ধতি বেশ সহজ এবং ঝামেলাহীন। বিড়ম্বনা নেই বললেই চলে। ঝামেলা ছাড়াই ভোট দেয়া যাচ্ছে। এ পদ্ধতিতেই স্বল্পসময়ে যে কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হাসানুজ্জামান।

ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তিকে কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া যায়, সেই কাজটাই আমরা করছি। অশিক্ষিত মানুষ যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারে তবে এটা পারবেন না কেন। এই জিনিসটায় আমরা বোঝাতে চাইছি।

তিনি আরো বলেন, ভোটাররা যারা আসছেন আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। বৃদ্ধদেরও ভোটদানে সমস্যা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে রাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে মাইকিং চলছে এলাকায়। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিরতণ করা হচ্ছে। কেবল ভোটারই নন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।