বরখাস্তকৃত এএসআইয়ের বাসায় মিলল সাড়ে ৫ হাজার ইয়াবা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীর ফ্রেন্ডস টাওয়ার ও নগরখানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বরখাস্তকৃত পুলিশের এএসআই সালা উদ্দিনের দুটি বাসা থেকে ৫ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৯ লাখ ৪০০ টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা। র্যাবের অভিযানের সময় সালা উদ্দিন পালিয়ে যায়।
তবে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীর ভাড়া বাসা থেকে তার সহযোগী সুমনকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। সোমবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর র্যাব-১১ কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১১ এর অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সালা উদ্দিন নামের একজন পাইকারি ইয়াবা বিক্রেতার নাম ওঠে আসে। নিজের প্রাইভেটকারে ইয়াবা বিক্রেতাদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেয় সালা উদ্দিন। কয়েকদিন আগে কদমতলীর ফ্রেন্ডস টাওয়ারে সালা উদ্দিনের একটি ভাড়া বাসার সন্ধান পায় র্যাব। সোমবার রাতে কদমতলীর বাসায় সালা উদ্দিনের অবস্থান জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করেে র্যাব সদস্যরা।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সালা উদ্দিন ও তার ড্রাইভার জসিম পালিয়ে যায়। এ সময় তার সহযোগী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুমনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সালা উদ্দিনের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৫ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর ২ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ সদর থানার নগরখানপুর এলাকায় সালা উদ্দিনের অপর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪০০ পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও টাকার মালিক সালা উদ্দিন। তিনি পুলিশের একজন বরখাস্তকৃত এএসআই। মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রায় ৭ মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সেই থেকে সালা উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও র্যাব জানায়।
হোসেন চিশতী সিপলু/এএম/আরআইপি