স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮

ফসল রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে বাঁধ রক্ষা করতে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজে নেমেছেন কৃষকরা। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গত বছরের আগস্টের বন্যায় বুড়ি তিস্তা নদীর ডানতীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সেসময় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান গ্রামসহ পাশের জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চাওড়াডাঙ্গি গ্রামের প্রায় ২০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তখন ছুটে যান নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে। তাদের দাবি ছিল বাঁধটি শক্ত ও মজুদ করে সংস্কার করে দিতে হবে।

কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ, তাদের কাছে একাধিকবার ধরনা দেওয়ার পরও বাঁধ সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা করেনি তারা। এ ঘটনার এক বছর অতিবাহিত হলেও বাঁধটি সংস্কারতো দূরের কথা, বিধ্বস্ত এলাকাটি মেরামত পর্যন্ত করা হয়নি। ফলে এবার ওই বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতে নিজেরাই নেমে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে সাতজান গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী (৫৫) বলেন, গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।

Nilphamari-(1)

সাতজান গ্রামের সেরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসের শুরুতে বন্যার পানি প্রবেশ করলে এসব এলাকার জমিগুলো ১-২ মিটার বালুতে তলিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে এলাকার কৃষকরা ৪টি মেশিন বসিয়ে বালু অপসারণ ও ৫০ জন মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের কাজ করছে।

এলাকার কৃষক নায়েব আলী বলেন, বাঁধটি তৈরি হলে এলাকার ২ শতাধিক একর জমির ফসল বন্যার পানি থেকে রক্ষা পাবে। সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় জমির মালিকরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয় না।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, বাঁধটি মেরামত করার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

জাহেদুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।